কাজী নাফিস ফুয়াদ, মাদারিপুর প্রতিনিধি: দীর্ঘ প্রতীক্ষিত দেশের বৃহত্তম যোগাযোগ অবকাঠামো স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উ্দ্বোধন করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হল।

শনিবার (২৫ শে জুন) দুপুর ১২ঘটিকার সময় সেতু উদ্বোধন কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকল জল্পনা -কল্পনা অবশেষে অবশান, পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে ডেকে তার পাশে দার করালেন সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন কে।
এসময় মাননী প্রধানমন্ত্রী সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় সংসদ নেতা মাদারীপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য, নুরে আলম চৌধুরী লিটন, মাদারীপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শাজাহান খান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মাদারীপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য ড,আব্দুস সোবাহান গোলাপ, সহ উপস্থিত এমপি মন্ত্রী, সকাল ১০ঘটিকায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।
এর আগে সেতুর উদ্বোধন করতে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে তিনি হেলিকপ্টারে করে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পৌঁছান। সেখানে বেলা পৌনে ১১টায় সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালি বীরের জাতি। বাঙালির ইতিহাসের প্রতিটি বাঁক রঞ্জিত হয়েছে ত্যাগ-তিতীক্ষা আর রক্ত ধারায়। কিন্তু বাঙালি আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। ’
শেখ হাসিনা বলেন, ইতিহাসের এক বিশেষ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আমরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাংলার মানুষের গর্বের ‘পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এ সেতু নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ পরার্শক, ঠিকাদার, প্রকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ, শ্রমিক, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। ধন্যবাদ জানাই পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের অধিবাসীদের যাদের জমিজমা ও বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের এই ত্যাগ ও সহযোগিতা জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম। অংশ নিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, দেশের রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিরা।
পদ্মা সেতুর মাধ্যমে খুলে গেল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অপরাপর অংশের সংযোগ, যোগাযোগ ও সম্ভাবনার দুয়ার।