ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় প্রায় দেড় লাখ ভোটারের বসবাস। গণটিকাদানের খবরে এখানে সকালে লাইন ধরেন কয়েক হাজার মানুষ। তবে টিকা দেয়া হয়েছে মাত্র ৩৫০ জনকে।

এর ফলে সকাল ৯টায় শুরু করে দুটি বুথে দুপুর সাড়ে ১২টায় শেষ হয়ে যায় টিকাদান। এতে লাইন ধরে দাঁড়িয়েও টিকা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
এ কেন্দ্রের সমন্বয়কারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কামরুন্নাহার জানান, ‘তাদের পঁচিশটি ভায়াল দেয়া হয়েছিল। একেকটি থেকে ১৪ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে বরাদ্দ পেয়েছি তাতে বারোটার পরই টিকাদান শেষ হয়ে গেছে। যারা আগে এসেছেন তাদের টিকা দেয়া হয়েছে। এরপর প্রচুর মানুষ আসলেও আমরা টিকা দিতে পারিনি।’
এদিকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ওই কেন্দ্রে মানুষের আসা-যাওয়া দেখা গেছে। তবে টিকা না পেয়ে তাদের সবাই ফিরে গেছেন।
উলুন এলাকার বাসিন্দা জামাল মোস্তফা বলেন, ‘বয়স বেশি হলেও এখানে অনেকে টিকা পায়নি। আবার অনেক কম বয়সী মানুষ নিয়েছে। যদিও সরকার বলেছে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের প্রায়োরিটি ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে, কিন্তু সেটা মানা হয়নি।’
এদিকে ওই কেন্দ্রে রোববার টিকা দেয়ার জন্য আজই সিরিয়াল নিচ্ছিলেন স্বেচ্ছাসেবকরা। এই সিরিয়াল দিতেও হুমড়ি খেয়ে পড়ছিলেন টিকা না পাওয়া মানুষ।