ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার ধামরাই এলাকার সেই ইমাম আব্দুর রহিমের মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সোমবার (২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এএসপি) মুক্তা দর।
তিনি বলেন, ভিকটিম আব্দুর রহিম সরাইল থানার ধামাউড়া গ্রামের বাসিন্দা। তবে তিনি পাশের থানা নাসিরনগরের ফেদিয়ারকান্দি মসজিদের ইমাম ছিলেন। গত ২০ জুলাই ইদুল আজহার আগের দিন তাকে তার দুই ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী ও এক ভাতিজা পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেন।
ঘটনার দিনের বর্ণনা দিয়ে মুক্তা ধর বলেন, গত ২০ জুলাই রহিমের সহোদর দুই ভাই পরিবারসহ ঢাকা থেকে ইদ উদযাপন করতে বাড়িতে যান। বাড়িতে গিয়ে দেখেন যে, রহিম তার বসতঘরের ভিটের মাটি ঠিকঠাক করার কাজ করছেন। মাটি ফেলা ও ভিটে ঠিকঠাক করাকে কেন্দ্র করে তাদের সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। এ কথা-কাটাকাটি মুহূর্তের মধ্যে বাগবিতণ্ডায় রূপ নেয়।
দুপুর ১২টার দিকে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে মো. সহেদ মিয়া, আব্দুল্লাহ, মো. জুনাইদ ও আব্দুল্লাহর স্ত্রী রতনা বেগম বল্লম ও লাঠি দিয়ে জখম করে রহিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যান। পরে এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানায় একটি মামলা করা হয়।
ঘটনাটি স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় আলোচিত ঘটনা হিসেবে প্রকাশিত হলে সিআইডি তদন্ত শুরু করে। মামলার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আসামিদের সম্ভাব্য লুকিয়ে থাকার সব স্থানে অভিযান চালানো হয়। সিআইডির একটি দল মামলার এক নম্বর আসামি মো সহেদ মিয়া, তার ছেলে তিন নম্বর আসামি মো. জুনাইদ মিয়াকে তেজগাঁও এবং দুই নম্বর আসামি আব্দুল্লাকে খিলগাঁও থেকে গ্রেফতার করে।
মুক্তা ধর বলেন, মামলা দায়ের হওয়ার পর আসামিরা ঢাকায় এসে আত্মগোপন করেন। পরে তারা মামলার বাদী অর্থাৎ রহিমের ছেলেকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখান। এছাড়া মামলার সাক্ষীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। পলাতক রতনা বেগমকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।