সাভার (ঢাকা ) প্রতিনিধি : সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গত ৫ জুন দুই বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত পরমাণু শক্তি কমিশনের আরেক নারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। একই দুর্ঘটনায় তিন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও দুই বাসের চালকসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।

পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রশাসন বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার এসএম মাজেদুল ইসলাম বলেন, গত রোববার দুর্ঘটনায় আমাদের তিনসহকর্মী ও বাসের চালক নিহত হন। এসময় গুরুতর আহত হয়ে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আরেক সহকর্মী ফারহানা নিপাকে।
ওই সময় চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, নিপার শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড় ভেঙ্গে গিয়েছে। মাথায় প্রচণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় রক্তক্ষরণ হয়েছিল। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজধানীর সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ অফিসে এসে শুনলাম সেও মারা গেছে গতকাল রাতেই। আমাদের চেয়ারম্যান স্যারের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি।
বৃহস্পতিবার সকালে সাভারের পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রশাসন বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার এসএম মাজেদুল ইসলাম এসব জানান।
গতকাল ৮ জুন রাতে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তার মৃত্যু হয়। ৩৫ বছর বয়সী নিহত ফারহানা নিপা সাভারের পরমাণু শক্তি কমিশনের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওলজিক্যাল সাপয়েন্স ডিপার্টমেনেটটর ৩৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বলিয়ারপুর দূরপাল্লার সেফলাইন পরিবহনের বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে অতিক্রম করে অপরলেনের একটি বাস ও ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এতে পরমাণু শক্তি কমিশনের দুই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ৩৫ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান ও ৪১ তম আবর্তনের পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্রী পূজা সরকার নিহত হন।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির সহযোগী প্রকৌশলী কাউসার আহমেদ, পরমাণু শক্তি কমিশনের স্টাফ বাসের চালক রাজীব হোসেন ও সেফলাইন পরিবহনের বাসচালকেরও মৃত্যু হয় এই দুর্ঘটনায়।