আব্দুস সামাদ, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুর্নীতি ঢাকতে ৭টি ঘর রাতের আঁধারে ভেঙে অন্যত্রে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। নির্মিত ১৩ টি ঘরের মধ্যে আরও ৬টি ঘর পূর্নাঙ্গ নির্মাণ শেষ না হতেই এ ঘর গুলো ভেঙ্গে অন্যত্রে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। ১০ থেকে ১২ দিন আগে কলারোয়া উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের তৈলকুপি গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের এ ঘর গুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়। সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনিয়োম আড়াল করতেই এ ঘরগুলো ভাঙ্গা হয়েছে বলে জানিয়েছে এলাকার অনেকেই।
কলারোয়ার লাঙ্গলঝাড়ার ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলাম বলেন, তৈলকুপি গ্রামের খাস জমিতে দুই সারিতে মোট ১৩ টি ঘর নির্মাণ করা হয়। এক পাশে ৭ টি, অপর পাসে ৬ টি। কিন্তু পাশে পুকুর থেকে বালি তোলার কারনে ৭টি ঘর ঝকি পূর্ণ হয়। সেই ঘরগুলো ভেঙ্গে অন্যত্রে নেওয়া হয়েছে।

কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু জানান, তৈলকুপি গ্রামে ঘর নির্মাণ করা হয় পুকুরের পাড়ে। দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে সদ্য বদলিকৃত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমি জেরিন ঘরগুলো নির্মাণ করেন। অল্প দিনের মধ্যেই ঘরগুলো ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। পুকুর ভরাটের জন্য আরো ৬ লাখ টাকা খরচ করেন উপজেলা অফিস থেকে। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। সাম্প্রতি সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর গুলো ভেঙে রাতের মধ্যেই ইটসহ বিভিন্ন মালামাল সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে তিনি জানান।
বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন চৌধুরীর ভাষ্য মতে, ঘর গুলো তাহার পূর্বের নির্বাহী কর্মকর্তা নির্মাণ করেছেন। তাই, দুর্নীতি ঢাকতে নয়, ঘরগুলো ঝুকিপূর্ণ স্থানে নির্মেনের কারনে সরানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘরগুলো পুকুরের পাড়ে নির্মাণ করা হয়েছিলো। পরবর্তিকে পুকুরে প্যানাসাইডিং দিয়ে ঘর গুলো বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছিলো। কিন্তু তাতেও তেমন কোন ফল না পেয়ে পরিষদের সকলের সাথে আলোচনা করে ঘর গুলো ভেঙ্গে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। পরিবর্তিতে সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নে একটি জায়গা পাওয়া ঘরগুলো ভেঙ্গে সেখানে নির্মানের জন্য নেওয়া হয়।
আর্থিক অপচয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বসবাসকারীদের জিবনে ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে ঘর গুলো সরানো হয়েছে। এখানে টাকার চেয়ে জিবনের কথা বেশি বিবেচনা করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।