আব্দুস সামাদ, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: জেলায় সরকারিভাবে ১৫ হাজার ৪শ ৭৭ মে.টন ৭শ ১২১ কেজি খাদ্য-শস্য মজুদ রয়েছে। সরকারের চাহিদার প্রেক্ষিতে এ খাদ্য শস্য সরবারহ করা হয়ে থাকে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত খাদ্য-শস্য অন্য জেলার সরবরাহ করা হয়ে থাকে। জেলার ৭টি উপজেলায় ২৬টি খাদ্য গুদামে ১৬ হাজার ৫০০ মে.টন ধারণ ক্ষমতান অনুকূলে ধানের মজুদ রয়েছে ১ হাজার ৮২৩ মে.টন ৯৩৩ কেজি, চালের মজুদ রয়েছে ১৩ হাজার ৩৭১ মে. টন ৫৭০ কেজি এবং গমের মজুদ রয়েছে ২শ ২৩ মে. টন ২৯০ কেজি।

সাতক্ষীরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে থেকে জানা যায়, সদর উপজেলায় ৯টি খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ৬ হাজার মে. টন। এতে মজুদ রয়েছে ৫ হাজার ৩৬৮ মে. টন ৩৯৬ কেজি। মজুদ খাদ্য শস্যের মধ্যে ধান রয়েছে ২শ ৯৬ মে.টন ১৩৩ কেজি, চাল রয়েছে ৪ হাজার ৮৪৮ মে. টন ৯৭৪ কেজি এবং গম রয়েছে ২শ ২৩ মে. টন ২৯০ কেজি।
কলারোয়া উপজেলায় ৩টি খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ২ হাজার মে. টন। এতে মজুদ রয়েছে ২ হাজার ১৫১ মে. টন ২২৪কেজি। মজুদ খাদ্য শস্যের মধ্যে ধান রয়েছে ২শ ৫ মে.টন ৪৮০ কেজি, চাল রয়েছে ১ হাজার ৯৪৫ মে. টন ৭৪৪ কেজি। এ উপজেলায় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ১শ ৫১ মে.টন ২৪৪ কেজি খাদ্য শস্য বেশি থাকলেও নেই গমের মজুদ।
দেবহাটা উপজেলায় ১টি খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ১ হাজার মে. টন। এতে মজুদ রয়েছে ১ হাজার ৫০ মে. টন ৮৯কেজি। মজুদ খাদ্য শস্যের মধ্যে ধান রয়েছে ২শ ৪৩ মে.টন, চাল রয়েছে ৮শ ৭মে. টন ৮৯ কেজি। এ খাদ্য গুদামে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ৫০ মে.টন ৮৯ কেজি খাদ্য শষ্য বেশি মজুদ রয়েছে। তবে এ উপজেলায় নেই গমের মজুদ।
কালিগঞ্জ উপজেলায় ২টি খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ১হাজার মে. টন। এতে মজুদ রয়েছে ৭শ ৪৪মে. টন ৩৯কেজি। মজুদ খাদ্য শস্যের মধ্যে ধান রয়েছে ১শ ১১ মে.টন ৮০০ কেজি এবং চাল রয়েছে ৬শ ৩২মে. টন ২৩৯ কেজি। এ উপজেলায় গম মজুদ নাই।
শ্যামনগর উপজেলায় ৩টি খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ১হাজার ৫শ মে. টন। এতে মজুদ রয়েছে ৯শ ৫২মে. টন ৪০৫ কেজি। মজুদ খাদ্য শস্যের মধ্যে ধান রয়েছে ১শ ৩৩ মে.টন ২০০ কেজি, চাল রয়েছে ৮শ ১৯মে. টন ২০৫ কেজি। এ উপজেলায় গম মজুদ নাই।
আশাশুনি উপজেলায় ৩টি খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ২হাজার মে. টন। এতে মজুদ রয়েছে ১ হাজার ৮০৭মে. টন ১৭০কেজি। মজুদ খাদ্য শস্যের মধ্যে ধান রয়েছে ২শ ২০মে.টন ৩২কেজি, চাল রয়েছে ১ হাজার ৫৭৭মে. টন ৫ কেজি। গম রয়েছে ৯মে. টন ৮০০ কেজি।
তালা উপজেলায় ৫টি খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ৩হাজার মে. টন। এতে মজুদ রয়েছে ৩হাজার ৪০৪মে. টন ৩৮৮কেজি। মজুদ খাদ্য শস্যের মধ্যে ধান রয়েছে ৬শ ১৪মে.টন, চাল রয়েছে ২ হাজার ৭৪১মে. টন ২৬৯ কেজি। গম রয়েছে ৪৯মে. টন ১১৯ কেজি। এ উপজেলায় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি রয়েছে ৪শ ৪মে. টন ৩৮৮কেজি খাদ্য শস্য।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভাঃপ্রাঃ) প্রিয় কমল চাকমা জানা যায়, জেলায় সরকারিভাবে যে খাদ্য-শস্য মজুদ জেলার চাহিদা চেয়ে বেশি। জেলার চাহিদা মিটিয়ে সরকারি চাহিদার প্রেক্ষিতে উদ্বৃত্ত খাদ্য-শস্য অন্য জেলা প্রেরন করা হয়ে থাকে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. নূরুল ইসলাম বলেন, জেলায় প্রায় ৪ লক্ষ মে.ট বিভিন্ন প্রকার খাদ্য-শস্য উৎপাদন হয়ে থাকে। সাধারণত দিনে একজন পূর্নবয়স্ক লোক ৪শ ৪২ গ্রাম খাদ্য-শস্য গ্রহণ করে থাকে। সে হিসাবে জেলায় যে পরিমান খাদ্য-শস্য উৎপাদন হয়ে থাকে তা জেলার বাৎ’’সরিক চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার মে.টন অন্য জেলায় পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, সরকারি ভাবে যে খাদ্য মজুদ থাকে তার চেয়ে কয়েক গুন বেশি মজুদ থাকে কৃষকের ঘরে। বর্তমানে সরকারি ভাবে যে খাদ্য-শস্য মজুদ রয়েছে তা সারা বছরের নয়। আরও কয়েকটি মৌসুম আছে সে সময়ও খাদ্য-শস্য ক্রয় করে সরকারি ভাবে মজুদ রাখা হয়।