আব্দুস সামাদ, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: কালিগঞ্জে শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আক্তারুজ্জামান তুহিন (২২) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তিনি উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের মধ্য রহমতপুর গ্রামের তালিমুল কুরআন নূরানী মাদ্রাসার আরবি শিক্ষক ও একই গ্রামের মোবারক গাজীর ছেলে।
জানা গেছে, প্রায় দুই মাস আগে শ্লীলতাহানীর শিকার ৫ ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে মাদ্রাসার কমিটির নিকট লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়।
অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় শ্লীলতাহানির শাস্তি হিসেবে শিক্ষক তুহিনকে বহিষ্কার করে মাদ্রাসা পারিচালনা কমিটি। গত ৪ এপ্রিল উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই মাদ্রাসা শিক্ষক।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর নানা বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার (৩ জুন) থানায় মামলা করেন।
কালিগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ওহিদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ আক্তারুজ্জামান তুহিনকে বৃহস্পতিবার রাতে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
এলাকাবাসী ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, তালিমুল কুরআন নূরানী মাদ্রাসার আরবি শিক্ষক আক্তারুজ্জামান তুহিন বিগত ২ বছর যাবত মাদ্রাসার বিভিন্ন শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীদের তার বাড়িতে প্রাইভেট পড়াতো। গত (৪ এপ্রিল) মামলার বাদীর ৯ বছরের নাতনি শিক্ষক আক্তারুজ্জামান তুহিনের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে গেলে পড়া দেখিয়ে দেয়ার নাম করে শয়নকক্ষে নিয়ে বিবস্ত্র করে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে বিবস্ত্র অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করলেও ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় শিক্ষক তুহিন। বিগত ২ বছরে সে অন্তত: ২১ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে বলে জানায় স্থানীয়রা। আর থানায় দায়েরকৃত এজাহারে ওই শিক্ষকের দ্বারা ৬ জন শিশু শ্লীলতাহানীর শিকার হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অনেক অভিভাবক লোকলজ্জার ভয়ে ঘটনা প্রকাশ করেননি বলে জানান এলাকাবাসীা।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আরবি শিক্ষক আখতারুজ্জামান তুহিনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ৫ জন শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টার কথা স্বীকার করেছেন। শুক্রবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।