মহামারি করোনাকালেও সামাজিক দূরত্বের কথা ভুলে রিকশায় পাশাপাশি বসে যাচ্ছে মানুষ। পাঠাও সার্ভিসের মোটরসাইকেলে চেপেও চলাচল করতে দেখা গেছে।

তবে সবাই যে যার জরুরি কাজের উসিলায় ঘর থেকে বের হয়েছেন- এমনটাই পথচারী ও চলাচলকারীদের যুক্তি।
এদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে রাজধানীসহ সারাদেশেই চলছে কঠোর লকডাউন। এছাড়াও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তবুও মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারের নিষেধাজ্ঞা পালনে কোনো কিছু দেখা যাচ্ছে না। অপর দিকে করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাও একেবারে ঢিলেঢালাভাবে চলছে রাজধানীতে।
কিছু কিছু স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট থাকলেও বেশিরভাগ পয়েন্টেই ঢিলেঢালাভাব দেখা গেছে।
বুধবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়কে ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে।
রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো রয়েছে রিকশার দখলে। সড়কের পাশে যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকছেন পাঠকও চালকরা। অনেকেই মাস্কও ঠিকমতো ব্যবহার করছে না।
মাস্ক না পরার কারণ জানতে চাইলে রিকশা চালক আকরাম বলেন, শ্বাস আটকে যায়। তাই খুলে রাখছি। বেশিক্ষণ মাস্ক পরে থাকা সম্ভব না। আর ওষুধের দোকানে একটা মাস্কের দাম ৫টা ট্যাকা (টাকা)। এক মাক্স দুইদিন পরতে পারলে আয় হয়।
আজমপুর ফুটওভার ব্রিজের পাশে দুই ব্যক্তি দাঁড়িয়ে থেকে গল্প করছিলেন। তাদের দুই জনের মাস্কই হাতে রাখা। তারা দু’জনই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। একজন অন্তর অপরজন জুবায়ের।
অন্তর জানান, কাজ নেই, সারা দিন বাসায় থাকতে ভালো লাগে না। তাই সকালের নাস্তার পর বন্ধু সঙ্গে দেখা করতে বের হয়েছিলাম।
সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী- সোমবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ১৪০ জন ও ৯৫ জন নারী। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ৩৯৭ জনের।
নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৭৭৬ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৯৬ হাজার ৯৩ জন।
চলমান বিধি-নিষেধ চলতি মাসের ১০ আগস্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। ১১ আগস্ট থেকে লকডাউন পরিস্থিতি শিথিল করে পর্যায়ক্রমে সীমিত সংখ্যক যানবাহন ও রেল চলবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তবে লকডাউন পরিস্থিতি শিথিলের আগেই রাজধানীতে মানুষের চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে উঠছে।