বৈশ্বিক মহামারির সংক্রমণ তাণ্ডবের মাঝে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকেই দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। দফায় দফায় ছুটি বাড়ানোর পর সবশেষ ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩১ আগস্ট স্কুল-কলেজের ছুটি জারি রয়েছে। তবে মহামারির প্রকোপ কমে আসায় কবে নাগাদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে তা পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার প্রধানের সেই নির্দেশে আজ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে ওই সভা অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা- এই দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও তিন সচিব যোগ দেবেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান ও সদস্য, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটির সদস্যদের সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এ দিকে, সরকারের নীতিনির্ধারকদের সূত্রে জানা গেছে, ‘দ্রুত সময়র’ মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা আমরা বলেছিলাম। এ কারণে এখনকার পরিস্থিতি ‘রিভিউ’ (পর্যালোচনা) করা প্রয়োজন। তাই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে।
অনুষ্ঠিতব্য ওই বৈঠকের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বুধবার (২৫ আগস্ট) রাতে গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আমাদের সব প্রস্তুতি তো রয়েছে। সামনের দিনগুলোতে আমরা কি পদ্ধতিতে আগাব, টিকা কার্যক্রমকে আরও কত দ্রুততার সাথে করা যায় এ সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছি। এ বিষয়টি মাথায় রেখে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, সভায় দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বড় বড় কলেজগুলোর অধ্যক্ষ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, জাতীয় পরামর্শক কমিটির কর্মকর্তারা অংশ নেবেন। পরে সকলের উপস্থিতিতে ভার্চুয়াল ওই সভায় এসব সামগ্রিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। এর আগেও আমরা এ ধরনের আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।