সরকারঘোষিত কঠোর লকডাউনে (বিধিনিষেধ) অনেকটা গোপনে বিবাহ কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। এরপর সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে বাড়ি ফিরছিলেন বর ও কনে। পথে পড়লেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তল্লাশির মুখে। পরে সাতদিন হোম কোয়ারেন্টাইন পালনের শর্তে মুচলেকা দিয়ে মুক্ত হন তারা।

শুক্রবার (২ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে হাটহাজারী উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, লকডাউন বাস্তবায়নে সকাল থেকে হাটহাজারীর মাঠে নামেন দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ উল্লাহ। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযানের একপর্যায়ে বিকেলে হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইউএনও’র চেকপোস্টে ধরা পড়ে বিবাহসম্পন্ন করে আসা এক নবদম্পতি। পরে তাদেরকে সাতদিনের হোম কোয়ারেন্টাইন পালন করার শর্তে মুচলেকায় ছেড়ে দেন ম্যাজিস্ট্রেট।
জানতে চাইলে ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, ‘তারা অনেকটা ছোটো পরিসরে বিবাহসম্পন্ন করেছেন। হোম কোয়ারেন্টাইন মানার শর্তে বর ও কনেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’
জানা গেছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এ সময় জরুরি সেবা দেয়া দফতর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল-দোকানপাট বন্ধ থাকবে। গণমাধ্যমসহ কিছু জরুরি সেবা এ বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত থাকবে।
বুধবার (৩০ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জরুরি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শনসাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবেন।