ঢাকারবিবার , ২৭ মার্চ ২০২২
  1. অনান্য
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. ইসলাম
  7. কিশোরগঞ্জ
  8. কুড়িগ্রাম
  9. কুমিল্লা
  10. কুষ্টিয়া
  11. কৃষি
  12. খেলাধুলা
  13. খোলা কলাম
  14. গাইবান্ধা
  15. গাজীপুর

লকডাউনের সময় সহায়তা পায়নি ৭০ শতাংশ শিশু শ্রমিক

350
Tanim Tv
মার্চ ২৭, ২০২২ ১০:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক: গবেষণায় দেখা গেছে, শ্রমের সঙ্গে জড়িত ৪৩ শতাংশ শিশু আগে থেকেই স্কুলে যেত না। কারোনা মহামারির কারণে তা বেড়ে ৮৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। তবে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও পরিবারের আর্থিক দুরাবস্থা কাটিয়ে উঠতে না পারায় দেশের ৪৬ শতাংশ শিশু শ্রমিক আর স্কুলে ফেরেনি।

এডুকেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এডুকো) বাংলাদেশের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, শ্রমের সঙ্গে জড়িত ৪৩ শতাংশ শিশু আগে থেকেই স্কুলে যেত না। কারোনা মহামারির কারণে তা বেড়ে ৮৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। রাজধানীর একটি হোটেলে রোববার এডুকো এই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।

করোনাকালীন এবং এর পরে শিশু শ্রমের পরিস্থিতির উপর গবেষণা করেছে সংস্থাটি। গবেষণাটি করতে ঢাকা শহরের পাঁচটি অঞ্চলে ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৪৩ জন শিশু শ্রমিকের সক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন শিশুশ্রম বিশেষজ্ঞ শারফুদ্দিন খান।

করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতেও পরিবারের আর্থিক দুরাবস্থা কাটাতে শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে বাধ্য হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা। সরকারের শিশুশ্রম নিরসন আন্দোলন সফল করতে সব স্তরের মানুষের সদিচ্ছা প্রয়োজন বলে মত দেন তারা। গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার কারণে শিশু শ্রমিকদের মধ্যে ৪৪ শতাংশ কাজে নিয়োজিত ছিল। প্রায় ৫৬ শতাংশ শিশু শ্রমিক সংসারে বাবা-মাকে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন কাজ করেছে। কেননা করোনার কারণে তাদের পরিবারের আয় কমে গেছে।

লকডাউনের সময় সহায়তা পায়নি ৭০ শতাংশ শিশু শ্রমিক
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৫৩ শতাংশ শিশু শ্রমিক লকডাউনের সময় কোনো কাজ করার সুযোগ পায়নি। ফলে তাদের জীবন ধারণ খুবই কঠিন ছিল। ২৭ শতাংশ শিশু শ্রমিকের আয় অর্ধেকে নেমে গেছে এবং ২২ শতাংশ শিশু শ্রমিক লকডাউনের সময় নিয়মিত কাজে যেতে পারেনি।

প্রায় ৭০ শতাংশ শিশু শ্রমিক বা তাদের পরিবার লকডাউনের সময় কোনো সহায়তা পায়নি বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। এডুকো বাংলাদেশের ডিরেক্টর অফ প্রোগ্রামস ফারজানা খান বলেন, ‘বর্তমান মহামারি বিভিন্ন পরিবারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। এ জন্য অনেকেই পারিবারিক উপার্জন বৃদ্ধির জন্য শিশুশ্রমের আশ্রয় নিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘২০২৫ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশুশ্রম নির্মূলের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য বাধ্যতামূলক পড়াশোনা শেষ না করে কোনো শিশু যেন শ্রমের সঙ্গে জড়িত না হয় তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। এই ব্যবস্থাটি কঠোরভাবে আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।’

অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, ‘সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় শিশুশ্রম নিরসনে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। শিশুশ্রম নিরসনে সরকার জোর দিয়েছে কারিগরি শিক্ষা এবং বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার উপর। শিশুশ্রম নিরসনে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ। বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এই কাজটি ভালোভাবে করে যাচ্ছে।

নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘সরকার শিশু শ্রম নিরসনে অনেক কাজ করছে। শিশুদের জন্য সেফটিনেট প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে যার মাধ্যমে দরিদ্রতা কমানো হয়েছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও শিশুশ্রম নিরসনে কাজ করছে।

এভাবে কাজগুলো চলমান থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব।’ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি মাহবুবা বিলকিস বলেন, মন্ত্রণালয় শিশুশ্রম নিরসনে ইতোমধ্যে অনেকগুলো কাজ করছে। সঠিক পরিসংখ্যান শিশুশ্রম নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মত দেন তিনি।

সাংবাদিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি! তানিম টিভি লি:  এর  সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য দেশের কিছু (জেলা ব্যতীত) সকল জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কর্মঠ, সৎ ও সাহসী কিছু পুরুষ ও মহিলা সংবাদদাতা/প্রতিনিধি নিয়োগ করা হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা পূর্ণাঙ্গ জীবন বৃত্তান্ত ই-মেইলে tanimtvltd.news1@gmail.com