করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার (২২ জুন) থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সাত জেলায় ‘লকডাউন’ ঘোষণা করেছে সরকার। এ নির্দেশনা মেনে রাজধানীতে প্রবেশের সংযুক্ত মহাসড়ক ঢাকা-আরিচা ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়ক দিয়ে আমিনবাজারে প্রবেশ করতে পারছে না পরিবহন

মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল থেকে দেখা গেছে এই চিত্র। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুর, বলিয়াপুর ও আমিবাজার অংশে পুলিশ পরিবহনগুলো রাজধানীতে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এতে সেখান থেকে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে যেতে হচ্ছে হাজারো মানুষকে।
মোটরসাইকেল ও নিজস্ব পরিবহন যেমন প্রাইভেটকার ছাড়া সব পরিবহনকেই থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে এসব পয়েন্টে। সড়কে যান চলাচল করতে না পারায় দীর্ঘ যানজটও দেখা গেছে ঢাকাগামী লেনে।
রাজধানীর মোহম্মদপুরে যাবেন শ্রমিক নেতা খাইরুল ইসলাম মিন্টু। তিনি সকালে সাভারের একটি গণপরিবহনে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু পথে হেমায়েতপুরর পার হওয়ার পরেই তাদের বাস থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে হাঁটা শুরু করেন তিনি।
খাইরুল ইসলাম মিন্টু বাংলানিউজকে জানান, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন ইউটার্নে পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। কোনো কোনো ইউটার্নে পরিবহন থামিয়ে ঘুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সকাল থেকে হাজারো মানুষ এই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। হাঁটতে গিয়েও নানা সমস্যা একে তো বৃষ্টি দুই সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে আছে। সেই পানিতে ভিজেই সড়ক দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে তাদের।
তিনি বলেন, এ ধরনের ‘লকডাউন’ জনগণের ভোগান্তি ছাড়া কিছুই না। ধরেন যারা কাজ করে যাদের কর্মস্থল ঢাকার ভেতরে। যারা গাজীপুর বা সাভারে থেকে ঢাকায় কাজ করে তারে জন্য এটা চরম দুর্ভোগের। এ ধরনের ‘লকডাউন’ আমাদের কোননো কাজে লাগে না। বরংচ কষ্ট বাড়িয়ে দেয়।
আশিক নামের আরেক বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, আমি প্রতিদিন সকালে বাসে করে আমার অফিসে যাই। আজ সকালে বের হেয়েছি হেমায়েতপুরের পরেই বাস থেকে আমাকে নামিয়ে দেয়। পরে হেঁটেই অফিসে গিয়েছি। ছাতা নিয়ে বের না হওয়ায় বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছি। আর অফিসে পৌঁছাতেও দের ঘণ্টা লেট হয়েছে।
এ বিষয়ে সাভার জোনের ট্রাফিক ইনচার্জ (টিআই) আব্দুস সালাম বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকেই ডিএমপি থেকে পরিবহন ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর সড়কের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ রয়েছে যেনো উল্টো পথে কোনো পরিবহন ঢুকতে না পারে। তবে আমরা কোনা পরিবহন থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছি না।