মায়ের সঙ্গে খুনসুটি করে দিন পার হচ্ছে রাজধানী মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় বাঘ পরিবারের নতুন দুই অতিথি দুর্জয় ও অবন্তিকার। মায়ের আদরে তারা দিন দিন বড় হয়ে উঠছে। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে।

জাতীয় চিড়িয়াখানায় টগর-বেলী বাঘ দম্পতির ঘরে এসেছে দুর্জয় ও অবন্তিকা নামের নতুন দুই শাবক। করোনাকালে চিড়িয়াখানার নিরিবিলি পরিবেশে প্রথম বাচ্চা দেয় রয়েল বেঙ্গল জাতের এই বাঘ দম্পতি। দর্শনার্থীদের জন্য গত সোমবার (১৬ আগস্ট) বাঘ শাবকদের চিড়িয়াখানার খাঁচায় ছেড়ে দেয়া হয়।
এদিন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এই বাঘ শাবকদের নামকরণ করে প্রদর্শনীর জন্য উন্মুক্ত করেন। নারী শাবকের নাম রাখা হয়েছে অবন্তিকা, পুরুষ শাবকের নাম দুর্জয়। মায়ের সঙ্গেই থাকছে তারা। বাবা টগরকে রাখা হয়েছে আলাদা খাঁচায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জাতীয় চিড়িয়াখানার বন্দি খাঁচার মধ্যে দুর্জয় ও অবন্তিকা মায়ের আদরে বেড়ে উঠছে। মায়ের কাছ থেকে তারা খাওয়া-দাওয়া, হাঁটাচলা শিখছে। কখনও খেলা করা, শরীরে উঠার চেষ্টা করা বা মাটিতে শুয়ে মায়ের সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে থাকছে। একজন মায়ের কাছে থাকলে অন্যজন একটু দূরে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটার চেষ্টা করছে।
দেখা গেছে, কখনও বাঘিনী মা তার সন্তানকে আলতো করে ছোঁয়া দিয়ে বন্দি খাঁচার মধ্যে এক স্থানে সরে গেছে, তার বাচ্চারাও মায়ের পেছনে পেছনে যাওয়ার চেষ্টা করে। কেউ মাটিতে শুয়ে পড়লে মা হেঁটে তার সন্তানের কাছে এসে জিহ্বা ও হাত দিয়ে আদর করে তোলার চেষ্টা করে। আদর পেয়ে বাচ্চা বাঘটিকে উঠে দাঁড়াতে দেখা গেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) জাতীয় চিড়িয়াখানা দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়ার কথা থাকলেও ঝুঁকির কারণ দেখিয়ে তা সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে আগামী মাসের শুরু থেকে এটি খোলা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. মো. আব্দুল লতিফ ।