সাভার উপজেলা প্রতিনিধি: মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় বাদীর বাসার রুমের তালা ভেঙে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে আসামির বড় ভাই সহ সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।

এব্যাপারে ভুক্তভোগী পোশাক শ্রমিক সোনিয়া আক্তার বলেন, প্রায় ছয়মাস আগে আমার স্বামীকে জয়নালের ভাই কিশোর গ্যাং নেতা রুবেলের নেতৃত্বে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করি। সেই থেকেই আমাকে ও আমার স্বামীকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। তাদের কথায় মামলা তুলে না নেয়ায় প্রায় আমাদের বাসায় এসে গালিগালাজ করে।
এব্যাপারে কয়েকদিন আগে থানায় সাধারণ ডায়রি করি। গতকাল মঙ্গলবার রাতে আবারও জয়নাল এবং রহমত সহ ৫জন লোক এসে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়। ওই রাতেই থানায় ফের আরেকটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। পরের দিন সকালেই এই ঘটনা ঘটায় তারা
বুধবার (২৫জানুয়ারি) সকালে আশুলিয়ার জামগড়া মোল্লা বাজার এলাকায় এঘটানা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলো, ঢাকা জেলা আশুলিয়া থানা জামগড়া গফুর মন্ডল স্কুল এলাকার দারগ আলীর ছেলে জয়নাল আবেদীন মিয়া (৩৮) ও মৃত নূরুর ছেলে রহমত আলী (৩৯) সহ অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পোশাক শ্রমিক সোনিয়া আক্তার ও তার স্বামী মানিক মিয়া প্রতিদিনের ন্যায় সকালে কর্মস্থলে চলে গেলে জয়নাল ও রহমতের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভাড়া বাসায় তিন রুমের তালা ভেঙে আসবাবপত্র ভাংচুর ও তছনছ করে ২০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে এবং বাসায় রাখা ২১ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
বাড়ির ম্যানেজার জামাল বলেন, রাতে পাঁচজন লোক বাসায় এসেছিল, কেন এসেছিল জানিনা। সকালে আমি একটু জরুরী কাজে বাইরে ছিলাম। এসে দেখি তিন রুমের তালা ভাঙ্গা।সাথেসাথে ওদের ফোন দিয়ে বিষয়টি জানাই।
অভিযুক্ত জয়নালের মোবাইল ফোনে বারবার ফোন দেওয়ার পরেও ফোনটি রিসিভ করেননি। পরে আমার এক সাংবাদিক সহকর্মীর কাছ থেকে বক্তব্যর সহযোগিতা নেই।
অভিযুক্ত জয়নাল বলেন, আমি রাতে মামলার বিষয়ে ওদের বাসায় গিয়েছিলাম,কিন্তু সকালে ওদের বাসায় লুটপাটের বিষয়ে কিছুই জানিনা।
এব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপসহকারী পরিদর্শক (এইআই) মে. নুর খান বলেন,এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।