ফরিদপুরের মধুখালীতে আপন বড়ভাই ছােটভাইকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে।

রবিবার (১ আগস্ট) দিবাগত রাত নয়টার দিকে উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের দাড়িরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই যুবকের নাম সাদ্দাম শেখ (২৫)। সে কৃষিকাজ করত। জাহাপুর ইউনিয়নের দাড়িরপার গ্রামের মৃত আলতাফ শেখের পঞ্চম সন্তান সে। ছয়মাস আগে তার বিয়ে হয় মদিনা বেগমের সাথে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, সাদ্দামের বড় ভাইয়ের দাবি আনিস শেখ মানসিক ভারসাম্যহীন। দীর্ঘদিন যাবৎ তার চিকিৎসা চলছে।
জানা যায়, রবিবার রাতে আলতাফ শেখের চতুর্থ ছেলে আনিস শেখ (৩৫) হঠাৎ করেই তার আপন ছােটভাই সাদ্দাম শেখ (২৫)কে মুগুর দিয়ে আঘাত করে।
সাদ্দাম শেখের বড়ভাই আওয়াল শেখ বলেন, ঘটনার সময় আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। খবর পেয়ে সাদ্দামকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আনিস দীর্ঘদিন যাবৎ মানসিক রােগী। মাঝে মধ্যেই সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। বিশেষ করে শীতের সময় বেশি সমস্যা হয়। রবিবার রাতে হঠাৎ পাগলামি শুরু করে সে। এ সময় ছােটভাই সাদ্দাম তাকে থামাতে গেলে তাকে মুগুর দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
জানা গেছে, গত ২২ জুলাই মারা যান সাদ্দামের পিতা আলতাফ শেখ। তার ছয়টি ছেলে। আগামী শুক্রবার আলতাফ শেখের দােয়া-মাহফিল করা নিয়ে পরিবারের সদস্যরা ব্যস্ত ছিলেন।
নিহত সাদ্দাম শেখের স্ত্রী মদিনা বেগম বলেন, আমি বাবার বাড়িতে ছিলাম। খবর পেয়ে এসে দেখি আমার স্বামী আর নেই। ওকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে আমার ভাসুর আনিস।
জাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসহাক আলী মােল্যা বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ আনিমের মানসিক ভারসাম্যহীনতার খবর জানি। কিন্তু এভাবে ছােটভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাটি খুবই হৃদয়বিদারক।
এ ব্যাপারে মধুখালী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাে. শহিদুল ইসলাম বলেন, রাতেই আনিসকে আটক করা হয়েছে। তবে সে মানসিক ভারসাম্যহীন। সাদ্দামের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানাে হয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।