দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও পাহাড়ি ধসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১৭ জন। এছাড়া ১২শর বেশি ঘরবাড়ি এরই মধ্যে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ফলে স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।

এবার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির মোকোতিয়েস উপত্যকা। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে মেরিদা রাজ্যে উপত্যকাটির অবস্থান।
বুধবার (২৫ আগস্ট) মেরিদার বর্তমান ক্ষমতাসীন দল দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের মাধ্যমে জানায়, বন্যাদুর্গত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- সামনে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এখনো বেশকিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ও টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মেরিদার ৮০ জনের মতো ফায়ার সার্ভিসকর্মী এবং ৬০ জন সিভিল প্রোটেকশন কর্মকর্তা এবারের জরুরি উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়া এতে যুক্ত হয়েছেন বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবীও
রাজ্যের গভর্নর রামোন গুয়েভারা জানান, এরই মধ্যে ১২শর বেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ১৭ জন। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে সহায়তা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ দিকে রাজধানী কারাকাসসহ ভেনেজুয়েলার আরও কয়েকটি অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় টেলিভিশনে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডেন্ট মাদুরো। বৃষ্টিপাতের ফলে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এবারের বন্যা ও পাহাড় ধসের ঘটনা ২০০৫ সালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বলে উল্লেখ করেন স্থানীয়রা। সে বছর ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে মেরিদায় ৪১ জনের প্রাণহানি ঘটে। আর নিখোঁজ হন ৫২ জন।