করোনা শনাক্তের জন্য বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতে অ্যান্টিজেন টেস্ট অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে যেসব প্রতিষ্ঠান এই পরীক্ষার অনুমতির জন্য আবেদন করবে তাদের জন্য কিছু শর্ত দেয়া হয়েছে।

সেগুলোর মধ্যে বেসরকারি হাসপাতালে অ্যান্টিজেন টেস্ট পরীক্ষার সর্বোচ্চ মূল্য ৭০০ নির্ধারণ করা হয়েছে। রিপোর্ট দেয়ার সময় ব্যবহৃত কিটের নাম উল্লেখ করতে হবে। বিশেষ ক্ষেত্রে রোগীদের বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহে অতিরিক্ত চার্জ ৫০০ টাকা রাখা যেতে পারে।
একই পরিবারের একের অধিক সদস্যের নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রেও চার্জের পরিমাণ ৫০০ টাকার বেশি হবে না।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. ফরিদ উদ্দিন মিয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে অ্যান্টিজেন টেস্ট করার অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে নিম্নের নির্দেশনা দেয়া হয়।
আবেদনের শর্তাবলী হলো- ডায়াগনোস্টিক সেন্টার (ক্যাটাগরি- এ, বি) সমূহের হালনাগাদ লাইসেন্স থাকতে হবে। পূর্ণকালীন দক্ষ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) থাকতে হবে, এর প্রমাণ হিসেবে নিয়োগপত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিতে হবে। তারা সরকারি প্রতিষ্ঠান অথবা সরকারের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান থেকে সনদপ্রাপ্ত হতে হবে।
টেস্ট করার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে কোভিড -১৯ এর উপসর্গ। এর মধ্যে যাদের (সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, মাথা ব্যাথা, শরীর ব্যাথা, নাকে ঘ্রাণ না পাওয়া, মুখে স্বাদ না পাওয়া, ডায়রিয়া ইত্যাদি) উপসর্গ রয়েছে এবং বিগত ১৪ দিনের মধ্যে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর সরাসরি সংস্পর্শে এসেছেন তাদের দিকে বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে।
অ্যান্টিজেন টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ হলে ডিএইচআইএস-২ সার্ভারে এন্ট্রি দিতে হবে। লক্ষণযুক্ত ব্যক্তির অ্যান্টিজেন টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ হলে রিপোর্ট না দিয়ে অনুমোদিত আরটিপিসির ল্যাব থেকে টেস্ট করিয়ে নিশ্চিত হতে হবে এবং ওই রিপোর্ট ডিএইচআইএস-২ সার্ভারে এন্ট্রি দিতে হবে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে অনাপত্তি সনদপ্রাপ্ত এসডি বায়ু সেন্সর (সাউথ কোরিয়া) ও পেনবাওয়ের (ইউএসএ) স্ট্যান্ডার্ড একিউ কোভিড-১৯ টেস্ট কিট ব্যবহার করতে হবে।
রিপোর্ট দেয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস শাখা থেকে আইডি, পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করতে হবে। প্রত্যেক ল্যাবের রিপোর্টিংয়ের জন্য একজন ফোকাল পারসন থাকতে হবে।
উপরোক্ত সব শর্তাবলী-নির্দেশনা পালন করার মর্মে অঙ্গীকার নামা দেয়ার পরেও কেবল অনুমোদন পাওয়া যাবে বলেও জানানো হয়েছে।