বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ৭৮তম বাফা কোর্সের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে যশোরে বিমান বাহিনী একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, সোমবার (২৮ জুন) এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
অফিসার ক্যাডেট মির্জা হাম্মাদ বিন শিহাব ৭৮তম বাফা কোর্সে সেরা চৌকস কৃতিত্বের জন্য ‘সোর্ড অব অনার’ এবং অফিসার ক্যাডেট মো. সাকিব এহসান উড্ডয়ন প্রশিক্ষণে সেরা কৃতিত্বের জন্য ‘বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ট্রফি’ লাভ করেন।
৭৮তম বাফা কোর্সে (গ্রাউন্ড ব্রাঞ্চ) সেরা কৃতিত্বের জন্য অফিসার ক্যাডেট সুমাইতা জামান নেহা ‘বিমান বাহিনী প্রধানের ট্রফি’ লাভ করেন। অফিসার ক্যাডেট মির্জা হাম্মাদ বিন শিহাব জেনারেল সার্ভিস প্রশিক্ষণ কৃতিত্বের জন্য ‘কমান্ড্যান্টস্ ট্রফি’ লাভ করেন। এছাড়া ২ নম্বর স্কোয়াড্রন চ্যাম্পিয়ন বিবেচিত হয়ে একাডেমি পতাকা লাভ করে।
আইএসপিআর জানায়, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যিনি একটি আধুনিক বিমান বাহিনীর স্বপ্ন দেখেছিলেন তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন।
তিনি বলেন, ইতিহাস বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার মৈত্রীর বন্ধনের স্বাক্ষর বহন করে। ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে ভারতের মাটিতে কিলো ফ্লাইটের জন্ম হয় যা আজ একটি আধুনিক বিমান বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
এরপর রাকেশ কুমার সিং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সামাজিক ও অর্থনৈতিক সু-সম্পর্কের নিদর্শন স্বরূপ গত ২৬ জানুয়ারিতে ভারতের ‘প্রজাতন্ত্র দিবস প্যারেড’ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যদের অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড এ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পরিচালিত বিভিন্ন স্কুল ও কলেজসমূহ বাংলাদেশের শিক্ষাখাতে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে।
বিশ্ব শান্তিরক্ষাসহ দেশের অভ্যন্তরে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বিমান বাহিনী একাডেমি একটি বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান যার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্যাডেটরা এ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে এবং এর যুগোপযোগী কার্যক্রম এমনকি কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও সব ধরনের অব্যাহত প্রশিক্ষণ এবং উন্নয়ন কার্যক্রমকে দৃষ্টান্তমূলক বলে তিনি অবহিত করেন।
তিনি সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাফল্য কামনা করেন এবং সম্মানিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধানকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এবারে ১ জন নারী অফিসার ক্যাডেটসহ মোট ২৬ জন অফিসার ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন।
অফিসার ক্যাডেট একাডেমি আন্ডার অফিসার মির্জা হাম্মাদ বিন শিহাব আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজের নেতৃত্ব দেন। কুচকাওয়াজ শেষে বিমান বাহিনীর বিভিন্ন ধরনের বিমানের সমন্বয়ে আকর্ষণীয় ফ্লাইপাস্ট অনুষ্ঠিত হয়।
অন্যান্যের মধ্যে উচ্চ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এবং সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অভিভাবকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধান অতিথি বিমান বাহিনী একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছলে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল মু. কামরুল ইসলাম এবং বিমান বাহিনী একাডেমির কমান্ড্যান্ট এয়ার কমডোর মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক তাকে স্বাগত জানান।