পৃথিবী জুড়ে চলছে মহামারি করোনাভাইরাসের ভয়ঙ্কর তান্ডব। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস এর তান্ডব থেকে রেহাই পেতে দেশেচলছে সাত দিনের বিধি নিষেধ বা কঠোর লকডাউন। সরকার ঘোষিত সাত দিনের কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন, সকাল থেকে মানুষের চলাফেরা কম ছিল। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে মানুষের চলাচল তেমন ছিল না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ১ লা জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে লকডাউনের প্রথম দিনে কোথাও দেখা গেছে ঢিলেঢালা ভাব আবার কোথাও মানা হচ্ছে কঠোর ভাবে। সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঢিলেঢালা ভাবে লকডাউন চলছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাচাঁবাজার খোলা স্থানে বসানোর নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
সড়কে রিক্সা,অটো রিক্সা,সিএনজি চলাচল অপেক্ষাকৃত কম হলেও গাড়ী সংকট থাকার কারণে যাত্রী ভোগান্তি ছিলো চোখে পড়ার মত। দূরের যাত্রীরা পায়ে হেঠে যেতে দেখা গেছে নিজ গন্তব্যে। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে প্রয়োজনীয় দোকানপাট খোলা না থাকায় মানুষজন ছিল চরম ভোগান্তিতে। শাশুড়ির অসুস্থতাজনিত কারণে পরিবার নিয়ে পায়ে হেঠে পথচলা সুনির্মল জানান, অসুস্থতার কথা শুনে না এসে পারিনি। লকডাউন থাকায় যাতাযাত করতে অসুবিধে। চান্দুরা থেকে সিএনজি করে সুলতানপুর যাওয়ার জন্য এসেছি, হেঠে সামনে গেলে আশা করি সিএনজি পাব। সিএনজি চালক রহিজ মিয়া জানান, সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে ইচ্ছে না থাকার পরও পেঠের দায়ে গাড়ী চালাই। পেঠত লকডাউন বুঝে না। চম্পকনগর বাজারে সবজি বিক্রেতা সজিব জানান, সকালের দিকে সবজি বাজারে ক্রেতা বেশি থাকলে ও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ক্রেতা কমে গেছে। লোকজন শুনছে বাজারে মোবাইল কোর্টে জরিমানা করছে, হয়তো ভয়ে লোকজন আসা কমে গেছে।
সরকার আরোপিত কঠোর লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে দিনভর উপজেলাতে সেনাবাহিনী,পুলিশ, বিজিবি র টহল অব্যাহত ছিল।
বিজয়নগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাবেয়া আফসার সায়মা জানান,লোকজন কথা শুনতে চায় না।বাজারে বিভিন্ন মোড়ে লোকজনদের অহেতুক ঘুরাফেরা করতে দেখা গেছে। আমাদের দেখলে স্বাস্থ্যবিধি মানার অভিনয় করে।সারাদিন বিভিন্ন জায়গা সচেতন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। বিভিন্ন আইন অমান্য করার কারনে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৯ টি মামলায় ২৩৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।