নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা মহামারির কারণে এবার অমর একুশে বইমেলা গতানুগতিক নিয়ম থেকে বেরিয়ে ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখ থেকে শুরু হয়েছিল। মেলা শেষ হওয়ার কথা ২৮ ফেব্রুয়ারি। তবে তা বাড়িয়ে ১৭ মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে বইমেলায় সময় বাড়ানো হলেও ক্রেতার চেয়ে মেলায় দর্শনার্থী বেশি দেখা যায়।

বন্ধুদের সাথে বইমেলায় ঘুরতে আসা আহনাফ ফাইয়াজ জানান, এবার বইমেলায় একবারও আসা হয়নি। বন্ধুদের সাথে তাই আজ ঘুরতে এসেছি। বই ও দেখছি, পছন্দ হলে কিনবো।
স্মিতা জান্নাত জানান, লেখকদের দেখা পেতে মেলায় আসা। যদিও আজ তেমন কেউ আসেনি। তাই বই ও কেনা হয়নি। পাঠকদের উপস্থিতি নিয়ে মাওলা ব্রাদার্সের ইনচার্জ শাহীন বলেন, গতবারের তুলনায় ভালো মনে হচ্ছে। তবে সময় বাড়ানোতে আশা করছি মেলা জমে উঠবে। আশা করছি ভালো বেচাকেনা হবে।

বইমেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে তিনি বলেন, সময় বাড়ানোতে ভালো হয়েছে। সবাই খুশি। আশা করছি এবার ভালোই হবে। এদিকে বইমেলা নিয়ে বাংলা একাডেমির প্রচারণা আরও বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন প্রকাশকরা।
হতাশা প্রকাশ করে শিখা প্রকাশনীর প্রকাশক নাফিজুল ইসলাম বলেন, পাঠকদের উপস্থিতি মোটামুটি থাকলেও আজ তেমন লক্ষ্য করা যায়নি। আশা করছি পাঠকদের উপস্থিতি বাড়বে। আর আমার মনে হয় বাংলা একাডেমির প্রচার, প্রচারণায় ঘাটতি রয়েছে। তাঁদের উচিত প্রচারণা আরও বাড়ানো।
এদিকে, প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো বইমেলার সময় বাড়ানোয় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। স্বাভাবিক সময়ের মত একমাস সময় দেয়ায় তাঁরা তাঁদের বিগত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সক্ষম হবেন বলে জানিয়েছেন। আদর্শ প্রকাশনীর কর্মকর্তা মো. শারাফাত এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মেলা এক মাস কর হয়েছে। গত বছরের লোকসান কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে।’
এদিকে অমর একুশে বইমেলায় রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্টল। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টল নং: ৬৭৩। গত চার বছর যাবত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণ করে আসছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টলে নিজস্ব প্রকাশনায় প্রকাশিত বই, জার্নালসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর বই স্থান পেয়ে থাকে।

করোনা মহামারীর কারণে গত বছর দেড় মাস পিছিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল অমর একুশে গ্রন্থমেলা। ১৮ মার্চ মেলা শুরু হয়ে শেষও করা হয়েছিল নির্ধারিত সময়ের আগেই। মেলায় মানুষের ভিড় কমাতে সে বছর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রতিটি স্টলের সামনে ফাঁকা জায়গা রেখে তৈরি করা হয় প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুটের বিশাল প্রাঙ্গণ।