পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বিভাজন অনুযায়ীই বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের পদায়নের অনুরোধ করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। গত ১৭ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ছাড়াও বিভিন্ন বাহিনীতে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দক্ষতার সঙ্গে বিশেষায়িত বাহিনী হিসেবে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে চলছে র্যাব। র্যাবের নতুন নতুন ব্যাটালিয়নের প্রতিষ্ঠা ও পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে তার জনবল সংকট, বিশেষত অফিসার পদবির ঘাটতি নিয়ে অর্পিত দায়িত্ব পালন এ বাহিনীর জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে র্যাবের পদায়ন সংক্রান্ত কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী অবগত হয়ে র্যাবের সংগঠন অনুযায়ী পদায়নের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করে সবসময় র্যাবের কাঠামো অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনী ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হতে নির্দেশিত পদ অনুযায়ী সদস্য প্রেরণের নির্দেশনা দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী র্যাবকে কর্মক্ষম ও দক্ষ বাহিনী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা বজায় রাখার জন্য বর্তমানে ব্যাটালিয়নসমূহের বিভাজিত জনবল অনুযায়ী নির্দিষ্ট পদের অনুকূলে অফিসার ও অন্যান্যদের শতভাগ পদায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
১৬ মে পুলিশের পদোন্নতি পাওয়া ৪৮ জন পুলিশ সুপারকে র্যাবে পদায়ন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, র্যাবে উপ-পরিচালক (পুলিশ সুপার পদমর্যাদার) পদের জন্য বর্তমান বিভাজনে অনুযায়ী নয়টি পদ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘এরকম একটি চিঠি পেয়েছি। র্যাব পুলিশের একটি বাহিনী। পুলিশ প্রধান ও র্যাব মহাপরিচালক বসে সব ঠিক করে নেবেন। এখানে কোনো ভুল বোঝাবুঝি নেই।’
জানা গেছে, র্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত পাঁচটি পদ বিভাজন আদেশ জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সর্বশেষ আদেশ অনুযায়ী র্যাবে উপ-পরিচালক পদ রয়েছে ১০৮টি। এর মধ্যে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর জন্য রয়েছে ৯৭টি পদ। আর পুলিশের জন্য রয়েছে ৯টি, ১টি আনসারের জন্য আর একটি পদ রয়েছে জনপ্রশাসন কর্মকর্তার জন্য।