কক্সবাজারে সম্প্রতি আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০০ পরিবারের আড়াই হাজার সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক। জেলার উখিয়ার জালিয়াপালং, পালংখালী, রাজাপালং, রত্নাপালং, হলদিয়াপালং ও টেকনাফের হোয়াইক্যং, হ্নীলা, বাহারছড়া, টেকনাফ সদর, সাবরাং ইউনিয়নে এই সহায়তা দেয়া হয়। ৫০০ পরিবারের মধ্যে উখিয়ার ২৩৫টি ও টেকনাফের ২৬৫টি।

শনিবার (১৪ আগস্ট) জাতিসংঘের প্রকল্প সহায়তা কার্যালয়ের (ইউএনওপিএস) মাধ্যমে ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) অর্থায়নে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের মাঝে এ সহায়তা দেয় ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা কর্মসূচি (এইচসিএমপি)। সোমবার (১৬ আগস্ট) ব্র্যাকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সহায়তা হিসেবে যেসব উপকরণ দেয়া হয়েছে- ৫০০টি করে মগ, তরকারির বাটি, চামচ, ভাতের বাটি, সোলার ল্যাম্প,পাটের ব্যাগ ও ৫০০ জোড়া জুতা। এছাড়াও তিন হাজার পিস সাবান, এক হাজার পিস পানির গ্লাস ও ভাতের প্লেট বিতরণ করা হয়।
ত্রাণ বিতরণকালে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সেক্টর স্পেশালিস্ট শুভ কুমার সাহাসহ ব্র্যাকের মাঠ পর্যায়ের কর্মী ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সহায়তা নিতে আসা টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা রোজিনা আক্তার (৩৮) বলেন, এবার হঠাৎ বন্যায় আমরা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হই। বন্যার পানিতে ঘর-বাড়ি ডুবে যাওয়ায় জীবন-জীবিকা দুর্বিষহ হয়ে উঠে। এই কঠিন সময়ে ব্র্যাক এই উপকরণগুলো দিয়ে আমাদের অনেক উপকার করেছে। এতে আমরা অনেক আনন্দিত।
ব্র্যাক এইচসিএমপি’র এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আখতার হক বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ব্র্যাক সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ করছে, যা এখনো অব্যাহত আছে। এবার ভারী বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগে সরকারের পাশাপাশি ব্র্যাকের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরাও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ও বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। এভাবে সরকার ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রাকৃতিক দুর্যোগকে আমরা সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো।