তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু আন্দোলন, সংগ্রাম, ত্যাগ ও সাহসিকতা দিয়ে নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের জন্য তৈরি করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শুধু মহান স্বাধীনতার স্থপতিই নন, স্বদেশ বিনির্মাণের রাষ্ট্রনায়ক। সদ্যস্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ মাত্র সাড়ে ৯ মাসে একটি সংবিধান উপহার দেয়ার নজির পৃথিবীর ইতিহাস খুঁজলে দ্বিতীয়টি পাওয়া যাবে না।’

বুধবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২৪ বছরের শোষণ, নির্যাতন ও নিষ্পেষিত একটি জাতি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ, দুই লক্ষাধিক ধর্ষিতা-নির্যাতিতা মা-বোনের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা লাভ করে। সেসময় পাকিস্তানি সেনারা ব্রিজ-কালভার্ট, রাস্তা-ঘাট পুড়িয়ে দিয়েছে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যাংক ও বাণিজ্য ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছিল। সেরকম যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছরের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে সাম্ভাবনাময়ী বাংলাদেশে পরিণত করেছিলেন।’
বাংলাদেশে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যা কিছু আজ তার সবকিছুর ভিত্তি রচনা করে গেছেন বঙ্গবন্ধু উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে ইপিআর এর ওয়ারলেস প্রযুক্তি ব্যবহার করে সারাদেশে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা প্রচার করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর স্যাটেলাইটের অরবিটাল ফ্রিকুয়েন্সি বরাদ্দ প্রদানকারী সংস্থা জাতিসংঘের আইটিইউ এর সদস্যপদ গ্রহণ করেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তর করতে ড. কুদরত-ই খোদার মতো একজন বিজ্ঞানীকে শিক্ষানীতি প্রণয়নের দায়িত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।’
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রীনা পারভীন, বেসিসেরর সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার, বিসিএস এর সভাপতি শাহিদ-উল-মুনীর।