ইতালির রাজধানী রোমে এক বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। জো বাইডেন ও নাফতালি বেনেট ক্ষমতায় আশার পর এটাই ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ নেতাদের প্রথম কোনো মুখোমুখি বৈঠক।

ইরানকে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরিয়ে নিতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের সাথে চুক্তির বিষয়টিকে কখনও ভালোভাবে দেখেনি ইসরায়েল। ঠিক এমন সময় বৈঠকে বসতে যাচ্ছে লাপিদ ও ব্লিনকেন।
দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের এ বৈঠকে মূল আলোচনায় থাকতে পারে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ ইস্যু। গত ২১ মে টানা ১১ দিনের সংঘাতের পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল ও হামাস। ওই সংঘাতে প্রায় আড়াইশোর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এর মধ্যে ৬৬ জনই শিশু। অপর দিকে দুই হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে আলোচনা হতে পারে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যু নিয়ে। ইরান ও সিরিয়া পরিস্থিতিও থাকতে পারে আলোচনায়। যদিও দুই নেতার আলোচনার বিষয়বস্তু আগে থেকে কিছুই প্রকাশ করেনি ইসরায়েল।
এর আগে সম্প্রতি দায়িত্ব গ্রহণের পর নিজের প্রথম সংযুক্ত আরব আমিরাত গিয়েছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ। আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার পর সেটি ছিল ইসরায়েলের কোনো শীর্ষ কূটনীতিকের দেশটিতে প্রথম সফর।
গত ২৯-৩০ জুন আমিরাত সফরে ছিলেন তিনি। এ সময় দুবাইতে একটি কনসুলেট এবং আবুধাবিতে একটি দূতাবাসের উদ্বোধন করেছেন লাপিদ।
ইউরোপ সফরের অংশ হিসাবে রোমে পৌঁছানোর আগে অ্যান্টনি ব্লিনকেন ফ্ৰান্স ও জার্মানিতে গিয়েছিলেন। সেখানে উষ্ণ অভ্যর্থনা লাভের পর রবিবার ইতালিতে আসবেন তিনি।
এছাড়াও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোমে সাক্ষাৎ করবেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি ও প্রেসিডেন্ট সার্গিও মাত্তারেলার সঙ্গে। তাদের সাথে তিনি সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করবেন। এরপর তিন সাক্ষাৎ করবেন পোপ ফ্রান্সিস, জাতিসংঘ খাদ্য নিরাপত্তা এজেন্সি ও ইতালিতে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে।
পোপ ফ্রান্সিসের সাথে দেখা করার পর অ্যান্টনি ব্লিনকেন যাবেন ভ্যাটিকান সিটিতে। সেখানে ভ্যাটিকান কর্মকর্তাদের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন, মানব পাচার ও দরিদ্র দেশগুলির ঋণ মওকুফের ব্যাপারে আলোচনা করার কথা রয়েছে।