ভোররাত ৪টায় মহাখালীর সাততলা বস্তিতে আগুনের সূত্রপাত। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট। কিন্তু ঘণ্টাখানেক পরই ফায়ার সার্ভিসের সব ইউনিটের গাড়ির পানি শেষ হয়ে যায়। পরে আশপাশের এলাকার পুকুর এবং জলাশয়ে পানির জন্য ছুটে যান তারা।

পৃথক ছয়টি পাম্পের সাহায্যে এসব জলাশয় থেকে পানি নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পুকুর এবং জলাশয়ের পানি পাওয়ায় নিরবচ্ছিন্ন ভাবে বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছেন তারা। এর মধ্যে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পুকুরের পানি সবচেয়ে বেশি কাজে দিয়েছে। এভাবে প্রতিটি এলাকায় একটি করে পুকুর থাকা জরুরি ছিল।
সরেজমিনে দেখা যায়, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ভেতর আইপিএইস পুকুরের উত্তর দিকে পৃথক তিনটি পাম্প দিয়ে সাততলা বস্তিতে পানি সরবরাহ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এভাবে আরেকটি পাম্প দিয়ে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের ভেতরের একটি পুকুর থেকে পানি আনা হচ্ছে। যদিও পরে সরবরাহ নিশ্চিত করতে পানি নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের বড় গাড়ি ও ওয়াসার পানিবাহী গাড়ি আসে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মী মাকসুদ হাসান জাগো নিউজকে বলেন, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পুকুর থেকে সাততলা বস্তির দূরত্ব ৫০০ মিটারের মতো হবে। সাধারণত এমন কাছাকাছি পানি পাওয়া যায় না। পানি সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়েছে। এভাবে ঢাকার অন্যান্য এলাকায় পুকুর থাকলে আগুনের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।