বৈশ্বিক মহামারির ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ তাণ্ডব দমাতে দেশে এখন পর্যন্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড নিয়েছেন ১ কোটি ৮১ হাজার ৮২ জন। এরমধ্যে ৬৩ লাখ ৩১ হাজার ২৮ জন পুরুষ। এছাড়া নারীদের মধ্যে এই টিকা নিয়েছেন ৩৭ লাখ ৫০ হাজার ৫৪ জন।
টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৬৭ জন দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারী পুরুষ ২৭ লাখ ২১ হাজার ৯৬৩ এবং নারী ১৫ লাখ ৩৯ হাজার ১০৪ জন। আর প্রথম ডোজ গ্রহণকারী ৩৬ লাখ ৯ হাজার ৬৫ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৫০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ দিকে, গত ২৫ মে থেকে দেশে চীনের সিনোফার্মার টিকার পর্যবেক্ষণমূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত এ টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২ হাজার ১৪২ জন। এদের মধ্যে এক হাজার ৫৭০ জন পুরুষ এবং ৫৭২ জন নারী রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশে এখন অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৩ হাজার ৫৬৮ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ৩১৪ এবং নারী ১ হাজার ২৫৪ জন।
এ দিকে, ঢাকা বিভাগে এখন পর্যন্ত টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৪ লাখ ৯৯ হাজার ৯৩০ জন। এরমধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৮ লাখ ২৫ হাজার ৭০০ জন রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৮ লাখ আট হাজার ৭৮ জন ও ঢাকা মহানগরীতে নিয়েছেন ৯ লাখ ২০ হাজার ১০৭ জন।
অন্যদিকে, ময়মনসিংহ বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ৫৬৩ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ২৩৩ জন। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮ লাখ ৮০ হাজার ৪৮৪ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১১ লাখ ৭৮ হাজার ২০৪ জন। আর রাজশাহী বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ১০ হাজার ৭৯৭ জন এবং প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬৭ জন।
রংপুর বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৯৬৯ জন এবং প্রথম ডোজ ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪৩ জন। খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ৯১ হাজার ৬০৭ জন, প্রথম ডোজ ৭ লাখ ৩১ হাজার ৮৯ জন। বরিশাল বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৮৩০ জন, প্রথম ডোজ ২ লাখ ২০ হাজার ৩৪০ জন এবং সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৮৮৭ জন, প্রথম ডোজ ৩ লাখ এক হাজার ১৫৬ জন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে করোনার টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেওয়া হয়। পরদিন রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেওয়া হয়েছিল। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেওয়ার ৬০ দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে।
