ঢাকায় আজ মঙ্গলবার (৮ জুন) সকালে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। পরিমাণে খুব বেশি না হলেও এর প্রভাবে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি মাথায় নিয়েই কাকডাকা ভোর থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, গার্মেন্টস কর্মী ও দিনমজুরসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ বাইরে বের হন।

বৃষ্টি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে কেউ ছাতা নিয়ে, কেউ প্লাষ্টিক মুড়িয়ে আবার কেউ কেউ কোনো প্রকার ব্যবস্থা না নিয়ে ভিজেই রওনা হন গন্তব্যে। সকালের দিকে রাস্তাঘাটে অপেক্ষাকৃত কম লোকজন থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
ফলে রাস্তাঘাটে রিকশা, মোটরসাইকেল, মিনিবাস, বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের চাপ বাড়ে। বিভিন্ন সড়কে অসংখ্য মানুষকে যানবাহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, তেজগাঁও, রমনা এবং শাহবাগ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, থেমে থেমে বৃষ্টির প্রভাবে বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় যানজট তৈরি হয়েছে। যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে দেখা যায়।
সকাল থেকে কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কখনও ভারি বৃষ্টি হওয়ার ফলে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষকে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে দেখা যায়।
রাজধানীর মৌলভীবাজার থেকে ঠেলাগাড়িতে পেঁয়াজের বস্তা নিয়ে ফিরছিলেন শ্রমিক রহিম মিয়া। পলাশীর মোড়ে পৌঁছাতেই ঝুম বৃষ্টি নামে। এ সময় তিনি একটি গাছের নিচে আশ্রয় নিয়ে বৃষ্টি থেকে বাঁচার চেষ্টা করেন।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, প্রতিদিনই কখনও ঘেমে আবার কখনও বৃষ্টিতে তার লুঙ্গি-গেঞ্জি ভিজে যায়। গায়ের পোশাক আবার গায়েই শুকিয়ে যায়। এটা তার গায়ে সয়ে গেছে।
রাজধানীর শাহবাগে এক বৃদ্ধ দম্পতি সকাল ১০টার দিকে উত্তরাগামী বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে ভিজছিলেন তারা।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপাকালে লালবাগের বাসিন্দা বৃদ্ধ হাসমত আলী বলেন, উত্তরায় মেয়ের বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে লালবাগের বাসা থেকে যখন বের হন তখন বৃষ্টি ছিল না। রিকশায় শাহবাগ মোড়ে বাস ষ্টপেজে এসে পৌঁছানোর পর বৃষ্টি নামে। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর কাকভেজা হয়ে তারা বাসে উঠে রওনা হন।