ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ঢাকার এডিসি ডিভিশনে সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন মীর মো. শাহারুজ্জামান ওরফে রনি। কর্মরত থেকে তিনি দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রীসহ অন্যান্য সহযোগীদের দিয়ে এটিএম বুথে লেনদেন করাতেন। লেনদেনের পর এটিএমের ইলেকট্রনিক জার্নাল এমনভাবে পরিবর্তন করে দিতেন, যাতে পরবর্তীতে এটিএম থেকে টাকা না পাওয়ার অভিযোগ সঠিক বলে প্রতীয়মান হয়।

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম মনিটরিং রোস্টার টিমে কর্মরত থাকা অবস্থায় শাহারুজ্জামান রনি উপস্থিত থেকে এবং কৌশলের মাধ্যমে বিভিন্ন এটিএমের ইলেকট্রনিক জার্নাল পরিবর্তন করে ৬৩৭টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১৩৬৩টি লেনদেন করে দুই কোটি ৫৭ লাখ এক হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
এসব অভিযোগে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের একটি টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চারজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সায়মা আক্তার, আল-আমিন বাবু, মেহেদী হাসান মামুন ও আসাদুজ্জামান আসাদ। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ৪টি মোবাইল জব্দ করা হয়।
বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
তিনি বলেন, ২০১৮ সাল থেকে শাহারুজ্জামান ডাচ বাংলা ব্যাংকে কর্মরত অবস্থায় অর্থ আত্মসাৎ শুরু করেন। বর্তমানে তিনি দেশের বাইরে আত্মগোপনে রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশ বলছে, এই চক্র এটিএম কার্ডগুলো সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে না দিয়ে চক্রের সদস্যদের কাছে দিয়ে দিত। তারা ওই কার্ড ব্যবহার করে তারা টাকা তুলে নেয়ার পর প্রথমে ওই অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিত। পরে আবার টাকা পাওয়া যায়নি, এমন অভিযোগ করে ব্যাংকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিত। পুরো প্রক্রিয়ায় অপরাধ আড়াল করে ঘটনা বিশ্বাসযোগ্য করতে তারা বিশেষ কৌশলের আশ্রয় নিত।