করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রশাসন বিধিনিষেধ জারি করলেও জনসাধারণ সঠিকভাবে তা মানছে না বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

রোববার (২০ জুন) সকালে ‘করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয়’ সম্পর্কে নওগাঁর পোরশা, নিয়ামতপুর ও সাপাহার উপজেলার নেতৃস্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় সাংগঠনিকভাবে গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষকে সচেতন করতে দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান খাদ্যমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সব সময় বিপদে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ায় উল্লেখ করে প্রতিটি গ্রামে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত করারও নির্দেশনা দেন তিনি।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘নওগাঁ সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় করোনার প্রকোপ বেড়েছে। প্রশাসন করোনা মোকাবিলায় বিধিনিষেধ জারি করলেও জনসাধারণ সঠিকভাবে তা মানছেন না, অনেকই মাস্ক পরছেন না। ফলে দ্রুত সংক্রমণ বাড়ছে।’
আমচাষিদের প্রতি সহানুভূতির কারণে কঠোর লকডাউন দেয়া হয়নি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আম ক্রেতা ও বিক্রতাদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘তিন উপজেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনা পরীক্ষা ও কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা আছে। করোনার লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা না করে পরীক্ষা করতে হবে, প্রয়োজনীয় চিকৎসা নিতে হবে। এই অবহেলা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। করোনা মোকাবিলা করেই দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে পোরশা, নিয়ামতপুর ও সাপাহার উপজেলার নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান,বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
পরে খাদ্যমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বাড়ি হস্তান্তরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, নওগাঁ-১ আসনের পোরশায় ৭১টি, নিয়ামতপুরে ৭৫টি ও সাপাহারে ৬০টি আধাপাকা গৃহনির্মাণ করে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।