নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনীতিবিদ হওয়ার জন্য লেখাপড়া জানতে হয়। এখন একুশ শতকের রাজনীতি অনেক বেশি জ্ঞাননির্ভর হয়ে উঠেছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি ছাত্রদলে কোন লেখা পড়ার চর্চা নাই। বিএনপি নেতাদের ইশারায় ছাত্রদল কর্তৃক সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে চলেছে অবিরত।

২৪ মে ২০২২, ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যম্পাসে হকি স্টিক, রড, চাপাতি ও লাঠিসোঁটাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের ওপর হামলা করেন। ছাত্রদলের এই বহিরাগতদের সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীর মাঝে ভীতি ছড়াচ্ছে। স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম থাকবে কিনা সেই আশংকা করছে শিক্ষার্থীরা।
মুলত অনেক বয়স্ক, বিবাহিত,অছাত্র, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ছাত্রদলের পদ আঁকড়ে আছে। ছাত্রদলকে নিয়ে এখন বিএনপির সংকট বেশ জটিল পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন ছাত্রদল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ন্ত্রণ রাখার নামে নানা ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড ও সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত ছিল। ছাত্রদলের কোনো নেতার কৃতী ছাত্র হয়ে বেড়ে ওঠার খবর আমরা এখনো জানি না। বিরোধী সংগঠনের নেতাকর্মীদের রগ কাটা, হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে বরাবরই।
২০০১ এর ১৩ই নভেম্বর জহুরুল হক হল দখল নিয়ে ছাত্রদল অস্ত্রের মহড়া দেয়। ওই ঘটনা তখন দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি করে তোলে। ২০০২ সালের ২ জুলাই ছাত্রদলের লাল্টু ও পিন্টু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে পিন্টু গ্রুপের দুজন বহিরাগত ক্যাম্পাসেই নিহত হয়। ২০০২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামসুন্নাহার হলে ছাত্রদল নেতারা তান্ডব চালায়। এমন অনেক উদাহরণ আছে, যা দেশবাসী তাদের কর্মকান্ডে লজ্জিত।
তাহলে কি ছাত্রদলে শুধু সন্ত্রাসীর চর্চাই হয়েই থাকে ? যা এখনো চলমান !
রাষ্ট্রের সব জঙ্গি কর্মকাণ্ডের মূলে শিবির কিংবা ছাত্রদল। দেখা যায়, যারা বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, তারা অতীতে শিবির, ছাত্রদল রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। তারা রাষ্ট্রীয় ও আর্ন্তজাতিক সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত। এদের রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত।