সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিনেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। রাস্তার মোড়ে মোড়ে অস্থায়ী চেক পোস্ট বসেছে। প্রায় প্রতিটি গাড়িকেই দাঁড় করিয়ে গন্তব্যের কারণ জানতে চাচ্ছে পুলিশ।

যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারলে তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) রাজধানীর মতিঝিল এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
এর আগের লকডাউনগুলো অনেকটাই ঢিলেঢালা ছিল। চলাচল নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর অবস্থান নিতে দেখা যায়নি। তবে এবার শুরু থেকেই বলা হয়েছিল, কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। প্রয়োজনে জেল জরিমানা করা হবে।
সরেজমিনে সেসব চিত্রের প্রতিফলন ঘটেছে, বিশেষ করে প্রধান সড়কে। প্রয়োজন ছাড়া কাউকে চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন মোড়ে আছে পুলিশের চেকপোস্ট। রাস্তায় বের হওয়ার যৌক্তিক কারণ না দেখাতে পারলে তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে চেকপোস্ট থেকে। প্রতিটি মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত (প্রাইভেট কার) গাড়িকে দাঁড় করিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার কারণ বিষয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে। তবে মালবাহী গাড়িকে আগেই রাস্তা ফাঁকা করে দেয়া হচ্ছে চলাচলে। তবে পায়ে হেঁটে চলাচলরত পথচারীদের সংখ্যা নেই বললেই চলে।
শাপলা চত্বর এলাকায় দায়িত্বপালন করা ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট এনাম বলেন, আমরা প্রতিটি মোটরযানকে থামিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার কারণ জানতে চাচ্ছি। তারা যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে ছাড়ছি নাহলে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার রিকশায় মাস্ক ছাড়া চলাচলটিও দেখছি। মাস্ক ছাড়া আমরা কাউকে অ্যালাউ করব না, সেটা রিকশাচালক বা যাত্রী যেই হোন না কেন।
তবে এসব চিত্রের ব্যতিক্রমও আছে। মতিঝিল এলাকার গলিপথে সাধারণের চলাচল রয়েছে অবাধে। কেউ কেউ আড্ডা দিচ্ছেন, চা পান করছেন। খাবার হোটেলের মধ্যে বসেই সকালে নাস্তা সেরে নিচ্ছেন। একে অপরকে প্রশ্ন করছেন কেমন চলছে।
কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে গতকাল বুধবার (৩০ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ২১টি শর্ত যুক্ত করে এই বিধিনিষেধ আরোপ হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।