নিজস্ব প্রতিবেদক: আবাসিক খাতে প্রাকৃতিক গ্যাসের মাসিক বিল দুই চুলার ক্ষেত্রে ১ হাজার ৮০ টাকা ও এক চুলার ক্ষেত্রে ৯৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি কমিটি। জুলাই মাস থেকেই এ দাম কার্যকর করা হবে।

রোববার (৫ জুন) বিকেল ৩টায় বিইআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আবু ফারুক এ দাম ঘোষণা করেন। ভার্চুয়াল এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন দর ঘোষণা করেন বিইআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এতে অন্যদের মধ্য অংশ নেন কমিশনের সদস্য মকবুল ই ইলাহী টৌধুরী, বজলুর রহমান ও কামরুজ্জামান।
বিইআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আবু ফারুক বলেন, বাড়ছে না যানবাহনে ব্যবহৃত সিএনজি দাম, আবাসিকে একচুলার বর্তমান দর ৯৫০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৯৯০ টাকা, দুই চুলা ৯৭৫ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১০৮০ টাকা করা হয়েছে। প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহকদের বর্তমান দর ১২.৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে১ ৮ টাকা, সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দর ঘনমিটার ৪.৪৫ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১৬ টাকা করা হয়েছে।
সবশেষ গ্যাসের দাম বৃদ্ধির আদেশে (২০১৯ সালে) পাইকারি দর প্রতি ঘনমিটার ১২.৬০ টাকা করা হয়। ভর্তুকি দিয়ে ৯.৭০ টাকায় বিক্রির নির্দেশ দেয় বিইআরসি। নতুন ঘোষণায় গড় মূল্য ১৬ দশমিক ৩০ টাকা করা হয়েছে।
গত ২১ মার্চ রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর দাম বাড়ানোর বিপরীতে গণশুনানি করে বিইআরসি। ওই শুনানিতে গ্যাসের দাম ১১৭ শতাংশ, অর্থাৎ এক চুলা ৯২৫ থেকে বাড়িয়ে ২০০০ টাকা, দুই চুলা ৯৭৫ থেকে বাড়িয়ে ২১০০ টাকা করার প্রস্তাব করার বিপরীতে দুই চুলা ৯৭৫ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৮০ টাকা এবং এক চুলার ট্যারিফ ৯২৫ থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকায় উন্নীত করার সুপারিশ করে বিইআরসি।