সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও মৌচাক পূর্বাণী কারখানার শ্রমিক আকরাম হোসেন বলেন, ঈদের আগে যানবাহনে ভিড় বেশি থাকে, তাই কারখানা থেকে দুদিন বেশি ছুটি নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তবে বাস না পাওয়ায় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। পরে তিনি টাঙ্গাইল পর্যন্ত একটি বাসে ওঠেন।
কোনাবাড়ী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর গোলাম ফারুক বলেন, ‘চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় কোনো যানজট নেই। তবে চাপ রয়েছে। আজ দুপুরের পর অনেক শিল্পকারখানা ছুটি হওয়ার কথা রয়েছে। তাতে ধারণা করছি, দুপুরের পর থেকে যানবাহন ও মানুষের চাপ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে।’
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের আবদুল্লাহপুর থেকে চেরাগ আলী পর্যন্ত সড়ক ভাঙাচোরা থাকায় যানবাহনগুলোকে ধীরগতিতে চলাচল করতে হচ্ছে। যার কারণে সেখানে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া গাজীপুরের কুনিয়া বড়বাড়ি, ছয়দানা মালেকের বাড়ি, বোর্ডবাজার, বাসন সড়ক ও চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় যানবাহনের বেশ চাপ রয়েছে। ওই সব পয়েন্ট থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে এসব পয়েন্টে ঘরমুখী মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক বিভাগ) মো. মেহেদী হাসান বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অন্যান্য দিনের মতোই যানবাহনের চাপ রয়েছে। তবে ঘরমুখী মানুষের ভিড় বাড়ছে। কারখানা ছুটি হলে যানবাহনের চাপ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।