আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজটি দিয়েই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছেন তিনি। এরপর আর দুইটি ওয়ানডে সিরিজ খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেও নেবেন অবসর। তার আগে আজ (মঙ্গলবার) শেষ হয়ে গেলো কিউই কিংবদন্তি রস টেলরের টেস্ট ক্যারিয়ার।

প্রায় ১৪ বছরের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে অনেকবার ব্যাট হাতে নিউজিল্যান্ডকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন টেলর। কিন্তু ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে তিনি জয় এনে দিলেন বল হাতে। বাংলাদেশের দশম উইকেট তুলে নিয়ে নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেছেন অফস্পিনার রস টেলর।
কাইল জেমিসন ও নেইল ওয়াগনারদের তোপে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের পরাজয় যখন নিশ্চিত, তখন শেষ উইকেট নেওয়ার জন্য টেলরকে ডাকেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টম লাথাম। ক্রাইস্টচার্চের হাগলি ওভালে উপস্থিত দর্শকদের একদমই হতাশ করেননি এ বিদায়ী ক্রিকেটার।
টেলরের ওভারের তৃতীয় বলে বড় শট খেলতে গিয়ে আকাশে ভাসিয়ে দেন এবাদত হোসেন। সেই বল তালুবন্দী করতে কোনো ভুল করেননি কিউই অধিনায়ক লাথাম। সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিত হয়ে যায় ইনিংস ও ১১৭ রানের ব্যবধানে জয়। আর টেলরকে ঘিরে উদযাপনে মাতেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা।
ম্যাচটিতে একবারই ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। যেখানে ৩৯ বলে ২৮ রান করেন টেলর। তিনি উইকেটে আসার সময় গার্ড অব অনার দিয়ে তাকে বিদায়ী অভ্যর্থনা জানিয়েছে বাংলাদেশ দল। আর দ্বিতীয় বল হাতে বাংলাদেশকে অলআউট করা উইকেট নিয়ে শেষ রাঙিয়ে রাখলেন টেলর।
ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘আমরা ভালো খেলেছি। বাংলাদেশ আমাদের চাপে রেখেছিল। তবে বল হাতে আমরা তাদের জবাব দিয়েছি। আমার জন্য, আমার পরিবার, বন্ধুদের জন্য এটা আবেগপূর্ণ ম্যাচ ছিল। ম্যাচের শেষটা কী দারুণভাবেই হলো।’
২০০৭ সালের নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল টেলরের। প্রায় দেড় দশকব্যাপী ক্যারিয়ারে ১১২ ম্যাচ খেলে ১৯ সেঞ্চুরি ও ৩৫ হাফসেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৭৬৮৩ রান করেছেন টেলর।