রাঙামাটি কাপ্তাইয়ের সৌরশক্তি থেকে ৭ দশমিক ৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে। ২০২০ সালের মধ্যে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১০শতাংশ নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যে ২০১৭ সালের কাপ্তাইয়ের ওপর বয়ে যাওয়া কর্ণফুলী নদীর তীরে দেশের প্রথম সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শুরু করে সরকার। যা ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে চালু করে দেশের এই নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে এটা কাপ্তাইয়ের বাঁধের পাশে নির্মাণ করা হয়েছে। কাপ্তাইয়ের চাহিদা মিটিয়ে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে এই সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এটা পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।
সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বাস্তবায়নে পার্বত্য রাঙামাটি জেলার কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নদীর পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাপ্তাই বাঁধের পাশেই এই সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পটি চালু করা হয়।
‘সোলার ফটোভোল্টাইক গ্রিড কানেকটেড পাওয়ার জেনারেশন প্লান্ট অ্যা কাপ্তাই ‘ নামের এই প্রকল্পটির দাতা সংস্থা এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক(এডিবি)। ১শত ১১কোটি ১০লাখ টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পটি নির্মাণ করছে চীনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জেটটিই কর্পোরেশন। পুরো প্রকল্পে ৩১০ ওয়াট সম্পন্ন ২৪০টি ইনভাটার। এর মধ্যে দিয়ে সৌর শক্তি উৎপাদন হচ্ছে ৭ দশমিক ৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যা সরাসরি যোগ হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে।
এই ৭ দশমিক ৪ মেগাওয়াট সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী মো.জাহাঙ্গীর আলম দৈনিক অধিকার কে বলেন, এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রথম অনগ্রীড সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।
গত ১ আগস্ট ২১ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পিডিবিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জনবল দিয়ে এটা পরিচালনা করা হচ্ছে। এই সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আওতাধীন অবশিষ্ঠ ৫ একর জায়গাতে আরও ১ দশমিক ৫০ মেগাওয়াট সোলার বিদ্যুৎ স্থাপন করা সম্ভব বলে তিনি উল্লেখ করেন।