মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম বিদেশ সফরে বুধবার (৯ জুন) যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন জো বাইডেন। সফরে জি-৭ সম্মেলনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি জোটটির বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন তিনি। তবে বিশেষ করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের ওপর নজর থাকছে আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো। বুধবার এরদোয়ান-বাইডেনের সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে কথা বলেছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেন, সফরে তুর্কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ বাইডেনের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। দুই নেতার জন্যই এটি সরাসরি কূটনীতির একটি সুযোগ এনে দেবে।
জেন সাকি বলেন, স্পষ্টতই একটি ন্যাটো সহযোগীর সঙ্গে গঠনমূলকভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্র জরুরি বলে মনে করে। একই সঙ্গে এমন ক্ষেত্রও রয়েছে যেখানে দুই দেশের মধ্যে জোরাল মতানৈক্য রয়েছে।
আঞ্চলিক নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও করোনা মহামারির মতো বিষয়গুলো দুই নেতার আলোচনায় প্রাধান্য পাবে বলে জানান জেন সাকি। যুক্তরাজ্য থেকে আগামী ১৩ জুন বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে বাইডেনের। সেখানেই ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। সেখানে ১৪ জুন এরদোগানের সঙ্গে বৈঠকের কর্মসূচি রয়েছে তার।
উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার আগেই ২০১৯ সালে এক সাক্ষাৎকারে এরদোগানকে একনায়ক হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন বাইডেন। তুরস্কে এরদোয়ান বিরোধীদের সমর্থন দেওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। অন্য দিকে হোয়াইট হাউসে অভিষেকের পর বিশ্বনেতারা বাইডেনকে অভিনন্দন জানালেও শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাতে সময় নেন এরদোগান। এমন পরিস্থিতিতেই ব্রাসেলসে মুখোমুখি হচ্ছেন দুই নেতা।