আফ্রিকার মধ্যাঞ্চলীয় দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গোতে (ডিআর কঙ্গো) ১৯ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে উগান্ডার বিদ্রোহীরা। এবার কিছু মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং বিদ্রোহীরা বেশ কয়েকজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে স্থানীয় এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের একদিন পর শনিবার ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে কাকুলে কালুঙ্গা নামে এক কর্মকর্তা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় প্রধান বলেছেন, রেড ক্রসের কর্মীরা মরদেহগুলো উদ্ধার করে নিয়ে গেছেন। নর্থ কিভুর বেনি অঞ্চলের কাসাঞ্জি গ্রামে আক্রমণের পর কাছাকাছি একটি বনে গিয়ে লোকজনকে উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। মূলত সে সময় মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, বেনি এলাকার আশপাশে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সম্পর্কিত অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এডিএফ) সক্রিয় রয়েছে। অঞ্চলটিতে প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি জরুরি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি রাখার পরও সেখানে ক্রমাগত সংঘর্ষের ঘটনা বেড়েই চলেছে।
কালুঙ্গা বিবৃতির মাধ্যমে বলেছেন, এডিএফের হামলায় এবার ১৯ জন নিহত হয়েছেন। গ্রামবাসীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এরপর ঘর-বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
রুয়েনজোরির নিউ সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনের মুখপাত্র মেলেকি মুলালা গেল শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে সেখানে সামরিক সদস্যদের অনুপস্থিতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাস থেকেই উত্তর ইতুরি এবং কিভু প্রদেশ অবরুদ্ধ অবস্থাতে রয়েছে। ফলে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য বেসামরিক কর্তৃপক্ষও সেনাবাহিনী এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।
আগস্ট মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ অপারেশন ফোর্সের একটি দল এডিএফ এবং অন্যান্য বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে কঙ্গোর সামরিক বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য এলাকাটিতে পৌঁছায়।