মহান রবের ইচ্ছামতাবেক, আমিতো এসেছিলাম তোমাদের পিছিয়ে পড়া আমলী জীবনকে পুনরায় ঢেলে সাজিয়ে দেওয়ার জন্য। আমি তো এসেছিলাম তোমাদের অন্তরে গুনাহের বীভৎস যন্ত্রণাকে লাঘব করার জন্য, আমি তো এসেছিলাম তোমাদের ঘুনে ধরা ঈমানকে পুনরায় শক্ত শবল শক্তিশালী করে তোলার জন্য, আমি তো এসেছিলাম রবের সাথে তোমার দূরত্ব গুছিয়ে নৈকট্য লাভ করিয়ে দেওয়ার জন্য, আমি তো এসেছিলাম উঁচু-নিচুর ভেদাভেদ ভুলিয়ে ধনী গরিবের বৈষম্য দূরে সরিয়ে দিয়ে, সাম্য মৈত্রী সম্প্রীতি সোহার্দ সহানুভূতি সহমর্মিতা আর ভালোবাসায় রাঙিয়ে দিতে, আমি এসেছিলাম ক্ষুধার্ত মানুষের ক্ষুধার যন্ত্রণা কেমন তা উপলব্ধি করাতে, আমি এসেছিলাম অসহায় দূস্ত মানুষের প্রতি তোমার দায়িত্ববোধকে জাগ্রত করতে, আমি এসেছিলাম রাতের শেষভাগে রহমতের সময়ে তোমাদেরকে ঘুমের বিছানা থেকে নামিয়ে তাহাজ্জুদের বিছানাতে দাঁড় করাতে, আমি তো এসেছিলাম হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ রজনী নিয়ে যাতে তুমি শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার হতে পারো,আমি তো কোরআন নাজিলের মাস এসেছিলাম তোমাদেরকে কোরআন শ্রবণ করাতে, আমি তো এসেছিলাম তোমাদের জীবন থেকে সকল অনাচার দূরে সরিয়ে দিয়ে ইসলামী আচার-আচরণে পরিশুদ্ধ করে দিতে, আমি তো এসেছিলাম গুনাহ মুক্ত জীবন যাপনে অভ্যস্ত করে দিয়ে চিরস্থায়ী অনাবিল শান্তির মঞ্জিল জান্নাতের দিকে ধাবিত করতে।

সময়ের পরিক্রমায় আমি খুব শীঘ্রই বিদায় নিচ্ছি, তোমরা তোমাদের অমূল্য সম্পদ ইমান ও আমলের যত্ন নিও। মাসব্যাপী রেখে যাওয়া আমার এই শিক্ষাগুলো তোমরা বছরব্যাপী অনুশীলন করো। যদি বেঁচে থাকো একটি বছর পর আবার তোমাদের মাঝে ফিরে আসবো, ততদিন তোমরা তোমাদের ঈমান ও আমলের যত্ন করো, ভুলে যেও না আমাকে, মনে রেখো আমার দেওয়া শিক্ষাগুলোকে, যদি সম্ভব হয় নফলে রেখো আমাকে, কারন আমি ফরজ রোজার পাশাপাশি নফল রোজা গুলো তোমাদের ব্যাপারে আল্লাহতালার কাছে সুপারিশ করবে আর এতে করে রাইয়ান নামক প্রবেশদ্বার দিয়ে জান্নাতে প্রবেশের পথ অত্যন্ত সুগম হবে যা দিয়ে তোমরা স্বাচ্ছন্দে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।
আলবিদা আলবিদা ইয়া শাহারু রমাদান,
আলবিদা আলবিদা ইয়া শাহারুল কোরআন, আলবিদা আলবিদা ইয়া শাহরুল মুওয়াসাত।
…. মুফতি মূর্তাজা ইবনে মোস্তফা সালেহী