মহামারি করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ নিয়ে উদ্বিগ্ন দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ দেশ ভারত। এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সকল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিলের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। এর আগে ৩১ জুলাই পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছিল। শুক্রবার (৩০ জুলাই) সেই মেয়াদ আরও বাড়াল ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)।

ডিজিসিএর পক্ষ থেকে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের ওপরে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আগামী ৩১ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো। যদিও পণ্যবাহী বিমানগুলোর পাশাপাশি এয়ার বাবল ও বন্দে ভারত মিশনের অন্তর্ভুক্ত বিমানগুলো এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।
ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর গত ২৩ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ। তবে ২০২০ সালের মে মাস থেকে ‘বন্দে ভারত মিশন’-এর অধীনে বিশেষ আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু রয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতে নতুন করে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা শুক্রবার ফের ৪০ হাজারের কোটা ছাড়িয়েছে। শুক্রবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪৪ হাজার ২৩০ জন মানুষ।
অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় দেশটিতে নতুন সংক্রমিত রোগী সংখ্যা বেড়েছে সাত শতাধিক। সর্বশেষ এই সংখ্যাসহ মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ১৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৪৪ জনে।
অন্য দিকে শুক্রবার ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৫৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় গত একদিনে মৃত্যু কমেছে প্রায় ৯০ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন চার লাখ ২৩ হাজার ২১৭ জন।
এ দিকে দৈনিক সুস্থতা ও সংক্রমণের সংখ্যায় শুক্রবারও বজায় রয়েছে উল্টো চিত্র। অর্থাৎ সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সুস্থ হওয়া মানুষের তুলনায় ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন বেশি মানুষ। ফলে দেশটিতে ফের বেড়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। ছাড়িয়েছে চার লাখের কোঠাও।
বর্তমানে টিকাদানের হার বাড়িয়ে ভারতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের হিসেব অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৪৫ কোটি ৬০ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে।